Wednesday, December 25, 2019

December 25, 2019

গ্রাম-বাংলার খুব পরিচিত একটি শাক হল বথুয়া বা বেথো শাক। এটি কেউ চাষ করেনা। জমিতে আগাছার মত আপনা আপনি জন্ম নেয় এই  শাক। আবার শহরের বাজারে আঁটি বেঁধেও বিক্রি হয় এটি। এই শাক দামে খুব সস্তা। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে। এ শাকের গড় উচ্চতা ২-৩ ফুট। এটি বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছের পাতার রং ফ্যাকাসে সবুজ। কান্ডে উঁচু শিড়া ও বেগুনি রেখা দেখা যায়। পাতার উপর মোমের প্রলেপ থাকায় জল ধরেনা। পাতার নিচেও সাদাটে আস্তরণ থাকে। এ শাকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ, ফসফরাস ও জিংক এবং গুরুত্বপূর্ণ ৮টি অ্যামাইনো এসিড। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বথুয়া শাকের ঔষুধি গুণাগুণ:



বথুয়া শাক বিভিন্ন রোগ সারাতে  ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এই শাক প্রচুর ভেষজ গুণাগুণ সম্পন্ন হওয়ায় হজমশক্তি উন্নত করে, খিদে বাড়ায়, এমন কি পেট ব্যাথাও দূর করে। কিডনিতে পাথর হলে বথুয়া শাকের জুস কিডনির পাথর নিরাময়ে খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এক গ্লাস পানিতে পরিমান মতো বথুয়া শাক ও এক চা চামচ চিনি মিশিয়ে শরবত তৈরি করে টানা দশদিন খেলে  কিডনিতে থাকা পাথর গলতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে কিডনিতে থাকা পাথর প্রস্রাবের মাদ্ধমে অপসারণ হয়ে যায়।

ত্বকের শ্বেত জাতীয় রোগ নিরাময়ে বথুয়া শাক দারুণ কাজ করে। এর জন্য চার কাপ বথুয়া শাক, এক কাপ তিলের তেলের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে এক কাপ সমপরিমাণ করুন। প্রতিদিন একবার ক্ষত স্থানে মালিশ করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এই রোগ সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় হয়ে যাবে। তবে পুরোপুরি এ রোগ সারতে কিছুটা সময় লাগবে।

গরম পানিতে বা আগুনে ত্বক ঝলসে গেলে ঐ স্থানে বথুয়া শাক বেটে লাগিয়ে রাখুন জ্বালা পোড়া কমে যাবে।

প্রসাবে জ্বালা পোড়া করলে আধা কেজি বথুয়া শাক বেটে, তিন গ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করে ছেঁকে নিন। এরপর এতে তিন চা চামচ জিরা গুঁড়ো, তিন চা চামচ লেবুর রস মিশ্রিত করুন। দিনে তিনবার কয়েকদিন খেলেই এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও এটি সাকের নেয় রান্না করে খেলে লিভারের সমস্যা, পিত্ত, ও মলাশয়ের সমস্যা দূর করে। মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খেলে বা রান্না করে খেলে মুখের ঘা সেরে যায়।

0 comments:

Post a Comment