Monday, November 25, 2019

November 25, 2019

দ্রুত বীর্যপাত ও লিঙ্গ উত্থান সমস্যার স্থায়ী সমাধান | জিনসেং | স্বাস্থ্য টিপস | Bangla Health Tips | BD Canvas


জিনসেং মাংসল মূলবিশিষ্ট এক ধরনের বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি উত্তর গোলার্ধে অর্থাৎ পূর্ব এশিয়াতে, বিশেষ করে চীন, কোরিয়া পূর্ব সাইবেরিয়াতে, ঠাণ্ডা পরিবেশে জন্মে। কিন্তু বর্তমানে ভারত, বাংলাদেশ সহ  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাষ করা হয়।  শক্তিবর্ধক  টনিক হিসেবে বিভিন্ন দেশে জিনসেংয়ের প্রচলন আছে। জিনসেং শব্দটা উচ্চারণের সাথে যে দেশটির নাম উচ্চারিত হয় সেটি হলো কোরিয়া। জিনসেংকে অনেকে কোরিয়ান ভায়াগ্রা বলে থাকে। জিনসেং হলো গাছের মূল। হাজার হাজার বছর ধরে কোরিয়াতে জিনসেং ওষুধি গুণাগুণের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের মানুষেরা এটা সম্পর্কে কম- জানেন। তাই জিনসেং সম্পর্কে একটি পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আজকের এই ভিডিও।

জিনসেং এর গুনাবলীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী যা প্রমানিত তা হলে, পুরুষের লিংগোত্থানে অক্ষমতা রোধে এর ভূমিকা। University of Ulsan এবং the Korea Ginseng and Tobacco Research Institute ৪৫ জন লিংগোত্থানে অক্ষম ব্যাক্তির উপর একটি পরীক্ষা চালান। তাদের কে সপ্তাহের জন্য দিনে ৩বার করে ৯০০ মিগ্রা জিনসেং খেতে দেয়া হয়, এরপর দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবার সপ্তাহ খেতে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮০% জানান যে, জিনসেং গ্রহনের সময় তাদের লিংগোত্থান সহজ হয়েছে।

২০০৭ সনে Asian Journal of এন্ড্রোলজিতে ৬০ জন ব্যাক্তির উপর করা এবং Journal of Impotent Research ৯০ জন ব্যাক্তির উপর করা অনুরুপ আরো দুটি গবেষনা প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালের একটি গবেষনায় বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে, জিনসেং কিভাবে লিংগোত্থানে সহায়তা করে। পুরুষের যৌনাংগে corpus cavernosum নামে বিষেশ ধরণের টিস্যু থাকে। নাইট্রিক অক্সাইডের উপস্থিতিতে এই টিস্যু রক্তে পরিপূর্ণ হয়ে লিংগোত্থান ঘটায়। জিনসেং সরাসরি দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমান বাড়িয়ে লিংগোত্থানে সহায়তা করে।

সে ক্ষেত্রে যাদের লিঙ্গের এই ধরণের সমস্যা আছে তারা যদি দিনে ৩ বার এই জিনসেং মূলের রস থেঁতো করে বা চিবিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন তবে এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।

দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা -

আপনাদের যাদের স্ত্রী সহবাসের সময় খুব দ্রুত বীর্যপাত হয় তাদের জন্য এই জিনসেং গাছের শেকড় খুবই কার্যকরী। Journal of Urology তে ২০০০ সনে প্রকাশিত একটি গবেষনা অনুযায়ী এটি বীর্যপাতের সময়কাল কার্যকরী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ভাবে বাড়ায়। আসলে, জিনসেং শব্দটাই এসছে চাইনিজ শব্দ “রেনসেং থেকে। “রেন অর্থ পুরুষ ও “সেন অর্থ “পা, যৌনতা বৃদ্ধিতে এর অনন্য অবদানের জন্যই এর এইরকম নাম (অবশ্য এটি দেখতেও কিন্তু পা সহ মানুষের মত). আপনাদের যাদের পাতলা বীর্য বা বিভিন্ন কারণে দ্রুত বীর্যপাত হয় তারা সহবাসের ১ ঘন্টা আগে,  এক গ্লাস হালকা গরম দুধের মধ্যে ৩ থেকে ৪ চা চামচ পরিমান জিনসেং মূলের রস যদি খেতে পারেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন এর কার্যক্ষমতা কতখানি।

এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-

জিনসেং এর সবচেয়ে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিকৃয়া হলো ঘুমের সমস্যা। আগেই বলেছি, জিনসেং স্নায়ুতন্ত্র কে উত্তেজিত করে ও মানসিক ক্ষমতা বাড়ায়। উত্তেজিত স্নায়ুর কারণে ঘুম আসতে দেরি হয়, যেমন টা হয় কফি খাওয়ার পরে। অন্যান্য সাধারণ সমস্যার মধ্যে আছে ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, হার্ট বিট বাড়া এবং ব্লাড প্রেশারে তারতম্য হওয়া এগুলো সমস্যা (সাময়িক)।

জিনসেং যারা খাবেন না-

বাচ্চা, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের এটা খেতে নিষেধ করা হয়। জিনসেং স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে তাই স্নায়ুর উপর কাজ করে এমন অন্য কোন ওষুধ (যেমন ঘুমের অষুধ, বিষন্নতার ওষুধ ইতাদি) এর সঙ্গে এটা খাওয়া উচিত না, নয়ত স্নায়ু অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে যাবে। জিনসেং রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে, তাই হার্টের রোগীরা যারা ইতমধ্যে রক্ত তরল করার বিভিন্ন ওষুধ খাচ্ছেন, তারা এদের সঙ্গে জিনসেং খাবেনা না। জিনসেং ব্লাড সুগার কমাতে সহায়তা করে, তাই ডায়বেটিস রোগীদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এটা খাওয়া উচিত যাতে ওষুধের সাথে জিনসেং গ্রহণে সুগার যেন বেশি কমে না যায়।

0 comments:

Post a Comment