হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আশাকরি ভালো আছেন, আজ আমি হাজির হয়েছি আরো একটি
নতুন ভিডিও নিয়ে। বন্ধুরা আজকের ভিডিওতে আমি আপনাদের বলবো নিয়মিত রাতে রুটি খাওয়ার
অবিশাস্য কিছু উপকারিতা। সেই সাথে প্রতি রাতে রুটি খেলে শরীরের কি কি পরিবর্তন ঘটবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। বন্ধুরা আজকের
এই ভিডিও হয়তো আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিডিও হতে পারে। তাই ভিডিওটি না টেনে
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখুন আশাকরি উপকৃত হবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে ভিডিওটি শুরু
করা যাক –
আটার রুটির চেয়ে আমরা ইদানিং রিফাইন করা ময়দার রুটি খেতেই
বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে রিফাইন করা ময়দা বিভিন্ন
ধাপে আমাদের খাওয়ার উপযুক্ত হয় বলে এর স্বাস্থ্যকর গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। অপরপক্ষে
লাল আটার রুটিতে ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে বলে তা আমাদের জন্য
বেশ স্বাস্থ্যকর। শরীর সুস্থ রাখতে রুটি খাওয়ার বিকল্প নেই। রুটিতে রয়েছে এখাধিক পুষ্টিগুণ
যা হার্ট ভালো রাখে। গমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ই, সিলিকন, ক্লোরিন, সালফার, পটাশিয়াম,
ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়োডিন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ক্যালসিয়াম এবং প্রাকৃতিক লবণ রয়েছে
যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গমের আটায় ফ্যাট থাকে না বলে এটি হার্টের কার্যক্ষমতা
বৃদ্ধি করে এবং শরীরের সুগারের মাত্রা বাড়তে দেয় না। এছাড়াও রুটিতে প্রচুর পরিমাণে
বি১, ব২, ব৩, ব৬ এবং ব৯ থাকে যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
প্রতিরাতে রুটি খেলে আমাদের শরীরের যে যে উপকার হয় তা হলো
-
শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কমিয়ে দেয়:
খেতে কে না ভালোবাসে? আর আজকের দিনে ট্র্যাডিশনাল রান্নার
পাশাপাশি ফাস্ট ফুডের চলন অনেকটাই বেড়েছে। কাজের চাপে অনেকেই বাড়ি থাকতে না পারার
কারণে বাইরের খাবারে ভরসা রাখছেন। খেতে ভালোবাসলে ওজন নিয়েও সবার সচেতন থাকা উচিত
বলে আজকাল ডাক্তাররা মনে করছেন। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড বা অন্যান্য বাড়ির খাবার যেক্ষেত্রে
অতিরিক্ত চর্বি বা তেল রয়েছে, সেগুলো মাত্রাধিক খেলে নানান রোগের সাথে শরীরে বাড়ছে
ওজন। যা কম বেশি কুফল আমাদের সবার জানা। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, শরীর তরতাজা আর ফিট রাখার
জন্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন না হওয়াটাই ভালো। কিন্তু কিভাবে শরীরের জমা অতিরিক্ত
ফ্যাট ঝরাবেন? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে রুটি
খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝড়তে শুরু করে। ফলে নিমেষে ওজন কমে। আর্থাৎ রাতে
রুটি খেলে ওজন তো বাড়েই না। উল্টে কমতে শুরু করে। তাই আপনার শরীরে জমে থাকা ফ্যাট
কমাতে ও শরীরকে ফিট রাখতে আজ থেকেই নিয়মিত রুটি খাওয়া শুরু করে দিন।
খনিজের ঘাটতি পূরণ করে
খনিজের ঘাটতি হলে কোষেরা অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না ফলে
শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া খনিজের ঘাটতিতে রক্ত জমাট বাধার প্রকোপ
দেখা দিতে পারে। খনিজের ঘাটতি পড়লে তা যেমন দাঁত দুর্বল করে, তেমনই ওজনও কমিয়ে দিতে
পারে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে যে যে ভিটামিন এবং খনিজের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন পড়ে, সেগুলি
সবই রয়েছে রুটিতে। তাই তো রাতে হোক কী দিনে রুটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:
ভোজন রসিক বাঙালীর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকে প্রচুর
তেল-মসলাদার খাবার। আর এ কারণে খুব স্বাভাবিকভাবে প্রায় সব বয়সী মানুষের মধ্যে কমন
কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আর সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য।
আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে রুটি বিশেষ ভূমিকা
রাখে। রুটিতে উপস্থিত ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে।
সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বল এবং বদ-হজমের মতো সমস্যাও কমিয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, তুল্য
মূল্য বিচার করে দেখা গেছে রাতে ভাত এবং রুটির মধ্যে রুটি তাড়াতাড়ি হজম হয়। ফলে বদ-হজমের
আশঙ্কা একেবারেই কমে যাই।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। না
খেয়ে থাকাসহ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেন অনেকে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করে যদি ওজন কমাতে
না পারেন তাহলে আগের পরিকল্পনাগুলো ছেড়ে দিন। নিতে পারেন নতুন কোনো পদ্ধতি। রুটিতে
ভাত বা অন্যান্য খাবারের তুলনায় ক্যালরি এবং ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে বিধায় এটি ওজন
কমাতে সাহায্য করে। এটা আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে ফলে ওজন বৃদ্ধিতে বাধা
সৃষ্টি করে। তাই আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন রাতের খাবারে ভাতের পরিবর্তে
রুটি খান। ১৫ দিনের মধ্যে আপনি এর কার্যকারিতা হাতে নাতে টের পাবেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ক্যালোরি
হিসেব করে খাওয়া এবং কতটুকু খাচ্ছেন তা হিসেব করা খুবই প্রয়োজন। এর ফলে শুধু যে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণে থাকে তা নয়, এর ফলে আপনার যেসব ওষুধ খেতে হচ্ছে তাও কমিয়ে আনা সম্ভব।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে প্রেসার
বেড়ে যাওয়া এবং হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই রক্তচাপের
ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত রাতে রুটি খেয়ে যান।
এ ছাড়াও রুটিতে প্রচুর মাত্রায় জিঙ্ক রয়েছে, যা আমাদের
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে এবং আমাদের শরীরকে সবসময় রোগমুক্ত রাখতে প্রতিদিন এর খাবারে
রুটি রাখা অবশ্যক।
0 comments:
Post a Comment