ফর্সা হওয়ার সহজ উপায় | জাফরান | জাফরানের উপকারিতা | স্বাস্থ্য টিপস | Bangla Health Tips
বিশ্বের সবচেয়ে দামী মশলা জাফরান। স্যাফরন বা কেশর নামেও
এটি পরিচিত৷ এই মশলা নামীদামী অনেক খাবারে ব্যবহৃত হয়। খাবারের স্বাদ, ঘ্রাণ, রঙ বাড়িয়ে
তুলতে এই ‘গোল্ডেন স্পাইস’
এর জুড়ি নেই। তবে জাফরানের কাজ শুধু এরমধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। জাফরানের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ
ঔষধিগুণ। জাফরানে রয়েছে বিস্ময়কর রোগ নিরাময় ক্ষমতা৷ মাত্র ১ চিমটে জাফরান আপনাকে
প্রায় ২০ টি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এ ছাড়াও প্রাচীন মিশরীয়রা তাদের
সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য এটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতো।
এখন আমি আপনাদের বলবো কিভাবে জাফরান ব্যবহার করে আপনার
তক্ককে ভেতর থেকে ধবধবে ফর্সা করবেন -
যদিও ফর্সা মানেই সুন্দর তা নয় তবুও আমরা চাই ত্বকটা একটু
ফর্সা আর উজ্জ্বল হোক। তাই আমরা অনেক প্যাক-ক্রিম ট্রাই করি ত্বক ফর্সা আর উজ্জ্বল
করতে। আসলে এই ফেস প্যাক গুলো স্থায়ীভাবে কিন্তু ত্বক ফর্সা করতে পারেনা। ঠিক যতদিন
এবং যেই স্থানে এটি ব্যবহার করবেন শুধু সেই স্থান টুকুই ফর্সা হবে। তাই আপনার তক্কে
একদম ভেতর থেকে স্থায়ী ভাবে ফর্সা করতে জাফরান গ্রহণ করুন। সেক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে
হবে তা হলো প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গার্লস হালকা গরম দুধে ৪-৫ কিসমিস ভিজিয়ে
রাখুন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ২-৩ চিমটি জাফরান দুধে মিক্স করে নিয়ে তা সেবন করুন।
এইভাবে নিয়মিত ১ মাস যদি আপনি এই টিপস টি মেনে চলেন তবে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এর
উপকার কতখানি।
তা ছাড়া এক কাপ টক দোয়ের সাথে ২ চা চামচ জাফরান বেটে সেটা
ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাই এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাই। তবে
স্থায়ী ও ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য ত্বকে মাখার থেকে দুধ, কিসমিস ও জাফরান সেবন করাটাই শ্রেয়।
এ ছাড়াও জাফরানের পটাশিয়াম আমাদের দেহে নতুন কোষ গঠন এবং
ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় জাফরান দৃষ্টিশক্তি উন্নত
করতে এবং চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে৷ যষ্ঠিমধু এবং দুধের সঙ্গে জাফরান
মিশিয়ে মাথায় লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে৷
0 comments:
Post a Comment