গাঁদা ফুলের উপকারিতা | Health Tips Bangla | BD Canvas
বাংলাদেশে গাঁদা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত
ফুল। সাধারণত এটি শীতকালীন ফুল হলেও বর্তমানে এটি গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষাবাদ হয়ে
থাকে। গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের দেখা যায়। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন
উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃহসজ্জায় এর ব্যাপক ব্যবহার ফুলটিকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
তবে কেবলই কি সাজ সজ্জায় এর ব্যবহার? মোটেই না! বরং গাঁদা ফুলের আছে আরও নানান রকম
ঔষধি ক্ষমতা। আসুন জেনে নেই গাঁদা ফুল ও পাতার ওষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।
অনিয়মিত মাসিক
বর্তমান সময়ে অনেক নারীদেরই অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে যারা অবিবাহিত। সাধারণত অনেক বেশি স্ট্রেস, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় বড় কোন পরিবর্ত- এসব কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড বা মাসিক হতে পারে। যাদের মাসিক নিয়মিত হয় না তারা প্রতিদিন সকালে গাঁদাফুলের চা খেলে নিয়মিত মাসিক হবে - বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন -
কান পাকা রোগ
কান পাকা রোগ শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তবে শিশুদের কান পাকা নিয়ে অভিভাবকরা স্বভাবতই চিন্তিত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা গোসলের সময় পানি নিয়ে খেলা করে, আর খেলা করতে করতে পানি কোন ফাঁকে কানে চলে যায় তা বাচ্চারা বুঝতে পারেনা, এর ফলে পচনের সৃষ্টি হয় ও কান পেকে যাই। এই সমস্যা সমাধানে গাঁদা পাতার রস বিশেষ কার্যকরী। এই গাছের পাতা ভালো করে পিষে তা থেকে রস সংরক্ষণ করে নিয়মিত ড্রপ আকারে ব্যবহার করলে কান পাকা রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়। এই রস
ছত্রাকনাশক হিসেবে বেশ কার্যকরী।
ক্ষত ও আঘাত
আঘাতের ফলে দেহে ক্ষত হওয়ার অভিজ্ঞতা প্রায় প্রতিটি মানুষেরই থাকে। ছোট খাট ক্ষতের ফলে ত্বকের উপরিভাগে কেটে যায় বা ছিলে যায়। সেই ক্ষত সারাতে গাঁদা ফুলের পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী। হঠাৎ শরীরে কোথাও কেটে গেলে গাঁদা ফুলের পাতা ঘষে বা বেঁটে সে কাটা জায়গায় প্রলেপ দিলে তৎক্ষণাৎ রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়, ব্যথা কমে যায় ও তাড়াতাড়ি জোড়া লাগে। পাতার রস দিয়ে ঘাঁ ধুয়ে দিলে অতি তারা তাড়ি তা সেরে যায়।
টিউমার নিয়ন্ত্রণ
টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এবং এই টিউমারটি যখন ব্রেনের ভেতরে হয় তখন সেটাকে আমরা ব্রেন টিউমার বলি। গাঁদা ফুলের নির্যাস টিউমারের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ১ লিটার পানিতে এক মুঠো গাঁদা ফুলের পাপড়ি দিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। পানি অর্ধেক হলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। দিনে দুবেলা এই পানি নিয়মিত পান করলে টিউমারের মত কঠিন রোগেরও উপশম ঘটে। তবে খুব বেশিদিন ধরে এই রোগ শরীরে বাসা বাধলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
ক্যান্সার প্রতিরোধ
ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। তবে নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। আমাদের বদলে যাওয়া জীবনযাপনের কারণে ক্যান্সার যে বাড়ছে তা অবশ্যই বলা যেতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে যে গাঁদা ফুল ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গাঁদা ফুলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাভনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি রোধ করতে গাঁদা ফুলের নির্যাস খুব কার্যকরী একটি উপাদান।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের তেল ও সুগন্ধি তৈরি করতে গাঁদা ফুলের
রস রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়।
0 comments:
Post a Comment